এবার মহাকাশে আইসক্রিম, পাতিলেবু, চিংড়ি ও পিঁপড়া পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৭০ কিলোগ্রাম ওজনেরও বেশি খাদ্য ও পিঁপড়া গেছে মহাকাশে ।
স্থানীয় সময় রবিবার ভোর হওয়ার আগেইিআমেরিকান গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আইসক্রিম, পাতিলেবু, চিংড়ি ও পিঁপড়াসহ বহু জিনিসপত্র নিয়ে মহাকাশে রওয়ানা হয়েছে ধনকুবের এলন মাস্কের সংস্থা ‘স্পেস-এক্স’ এর ‘ফ্যালকন’ রকেট।
ভূপৃষ্ঠের ৩৭০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এসব জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে রকেটটি রওয়ানা হয়।
এর আগে গত শনিবার ‘স্পেস-এক্স’ এর ‘ফ্যালকন’ রকেট রওয়ানা হওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে স্থগিত হয়ে যায়।
স্পেস-এক্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রবিবার ভোর হওয়ার আগেই ‘ড্রাগন’নামে ‘ফ্যালকন’রকেট রওয়ানা হয়। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিত্যপণ্য ও পিঁপড়া সোমবার পৌঁছে যাওয়ার কথা রয়েছে। এক দশকে নাসার পাঠানো জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে এ পর্যন্ত ২৩ বার মহাকাশ স্টেশনে গেল স্পেস-এক্স এর শক্তিশালী রকেট।
মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করা মহাকাশচারীদের জন্য আইসক্রিম, ফল আর নানা ধরনের খাবার পাঠানো হয়েছে। এবার নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ছাড়াও মানুষ আকৃতি ‘রোবটিক আর্ম’ বা রোবট বাহু পাঠানো হয়েছে। মহাকাশে ভরশূন্য অবস্থায় এটি কতটা কার্যকর হয়, তা বুঝতেই জাপানের একটি সংস্থার বানানো বিশাল রোবট বাহুটিকে মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রায় সাড়ে ৪ দশক পর ২০২৪ সালে ‘আর্টেমিস’ অভিযানে মহাকাশচারীদের ফের চাঁদে নামাতে চলেছে নাসা। সেই অভিযানের বিভিন্ন পর্যায়ে এই রোবট বাহুর ব্যাপক ব্যবহার হবে। চাঁদে সভ্যতার একটি স্থায়ী বেস বা আস্তানা গড়ে তুলতে ও খনিজ সম্পদের সন্ধান ও সংগ্রহে এই রোবট বাহুটিকে ব্যবহার করা হবে বলে জানায় নাসা।
মহাকাশ স্টেশনে ভরশূন্য অবস্থায় পরীক্ষানিরীক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, পিঁপড়া আর লবণাক্ত পানির চিংড়ি মাছ পাঠানো হয়েছে।